পুষ্পকুন্তলা
প্রিয় ব্যক্তির কাছে থেকে তাঁর নিজের লেখা বই গিফট পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। পুষ্পকুন্তলা বইটা আমি নিজে সংগ্রহ ককরে নিতে চেয়েছিলাম। আমি সাধারণত সৌজন্য কপি নিই না। আমাদের মতো দেশে বই বিক্রিই হয় খুব কম। তারপরও যাঁরা লেখেন তাঁদের আমি এমনিতেই সম্মান করি। আর কেউ সৌজন্য কপি দিতে চাইলে কিনে নিই। কারণ, আমি মনে করি,
এভাবেও অন্তত একজন লেখককে কিছুটা হলেও সম্মান করা হয়। ফরিদ আহমেদ স্যার সে সুযোগটাও কেড়ে নিলেন। বইটি তিনি কুরিয়ার চার্জ বাদেই পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। আমি খুব সামান্য একজন পাঠক। মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। ধন্যবাদ প্রিয় স্যার।
সোশ্যাল মিডিয়াতে সবারই পছন্দের কিছু লেখক থাকেন। আমারও সেরকম আছে। আমি তাঁদের পোস্ট পড়ি। বড়ো পোস্ট হলে স্কিপ করে চলে যাই। পরে সময় করে পড়ি। এই লেখকেরা আমাকে প্রভাবিত করে। Farid Ahmed স্যার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আমার বেশ কিছু স্টুডেন্ট ফেসবুকে আমি যাঁদের অনুসরণ করি তাঁদেরকে তারাও অনুসরণ করে। এজন্য সেদিন একজন স্টুডেন্ট বলতেছে ফরিদ আহমেদ স্যার কি আপনার আইডল। তাঁকে বললাম, না তিনি আমার আইডল না। কিন্তু তাঁর ওয়ে অফ থিংকিংটা আমার ভালো লাগে। যেকোনো ব্যক্ত যিনি লিবারেল, যৌক্তিক, কুসংস্কারমুক্ত, ধর্মীয় গোঁড়ামিমুক্ত, দলান্ধত্বমুক্ত তিনি আমার পছন্দের।
ফরিদ আহমেদ স্যারের বেশিরভাগ বই আগরতলা থেকে প্রকাশিত হয়। এই জায়গাতে তিনি একটু ব্যতিক্রম বলতেই হয়। কারণ বাংলাদেশি লেখকেরা সাধারণত ঢাকায়, নইলে, কলকাতায় বই বের করে থাকেন। কিন্তু তিনি বের করেন ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশ না করার কারণ থাকতে পারে। লেখক সেটা ফেইসবুকে বলেছেনও কয়েকবার। আর আমি নিজেও কিছুটা ধারণা করতে পারি। কিন্তু দ্বিতীয় অপশন কলকাতা রেখে আগরতলা কেন সেটা একটা বিস্ময় হতে পারে।
বইটা প্রকাশিত হয়েছে আগরতলা থেকে। বাংলাদেশে নোভা'স ফ্যাশন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন প্রিয় Abdus Samad ভাই।
বি. দ্র. বুক রিভিউ গ্রুপের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক ফরিদ আহমেদ স্যার। স্যারের জন্য শুভকামনা নিরন্তর।
0 Comments